রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে পাইপ ও টিউবকে মানব দেহের শিরা ও উপ-শিরার সাথে তুলনা করা হয়। একটু চিন্তা করি তো, কেন এই তুলনা! মানব দেহে শিরা ও উপ-শিরার মধ্য দিয়ে যেমন রক্ষ প্রবাহিত হয় তেমনি রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে পাইপ ও টিউবের ভেতর দিয়ে রেফ্রিজারেন্ট (হিমায়ন) প্রবাহিত হয়। এই অধ্যায়ে আমরা রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের টিউব বা পাইপ একটি অপরটির সাথে সংযুক্ত করতে যে গ্যাস ওয়েন্ডিং, ব্রেজিং ও টিউব লকরিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে শিখৰ ।
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা-
উপর্যুক্ত শিখনফলগুলো অর্জনের লক্ষ্যে এই অধ্যায়ে আমরা তিনটি জব সম্পন্ন করব। এই তিনটি জবের মাধ্যমে গ্যাস ওয়েল্ডিং, ব্রেজিং, টিউব লকরিং এর প্রয়োজনীয় মালামাল শনাক্ত এবং টিউব কাটিং, ফ্লায়ারিং ও সোয়াজিং করে, ব্রেজিং ও টিউব লকরিং এর মাধ্যমে টিউব সংযোগ করার দক্ষতা অর্জন করব। জবগুলো সম্পন্ন করার আগে প্রয়োজনীয় তাত্ত্বিক বিষয়গুলো জেনে নেই।
এই শিখনফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা ব্যক্তিগত নিরাপত্তার সরঞ্জাম, গ্যাস ওয়েন্ডিং এর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি, ব্রেজিং এর প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামাদি, পাইপ ফিটিংস, ফ্লায়ারিং ও সোয়াজিং টুলস বক্স, টিউব বেড, লকরিং জয়েন্ট এর কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সম্পর্কে জেনে তা শনাক্ত করতে পারব।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরজা (Personal Protective Equipment PPE )
কাজ করার সময় যে সকল সরঞ্জাম বা ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে নিজেকে মারাত্মক কোন দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করা যায় সেগুলিকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (সংক্ষেপে PPE ) বলে।
ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জামে বা থাকে -
ধাতব খণ্ড জোড়া বা সংযোগ বা মেরামত করতে ওয়েল্ডিং (Welding) করা হয়। রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে গ্যাস ওয়েল্ডিং বেশি ব্যবহার করা হয়। গ্যাস ওয়েন্ডিং এর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম চিনে নিজে পরবর্তী কাজটি করি-
অনুসন্ধানমূলক কাজ
তোমার এলাকা অথবা বিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউটের টিএসসির আশে পাশের রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং | এর ওয়ার্কশপ থেকে নিচে উল্লেখিত কম্পোনেন্টের লোকাল/আঞ্চলিক নাম ও সঠিক নাম জেনে সঠিক নামটি নিচের তালিকায় লেখ।
ক) অক্সিজেন গ্যাস
খ) অ্যাসিটিলিন গ্যাস
গ) হোস পাইপ
ঘ) ওয়েল্ডিং টর্স
ঙ) রেগুলেটর
চ) স্পার্ক লাইটার
ছ) ওয়্যার ব্রাশ
জ) টংস বা সাঁড়াসী
ঝ) টিপ ক্লিনার
ঞ) ব্রেজিং ফিলার রড
ট) পানির পাত্র
ঠ) ফ্লাক্স ।
পাইপ ফিটিংস ( Pipe Fittings)
এককভাবে পাইপ বা টিউবকে ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব হয় না । একে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন ধরনের সংযোজক বা উপকরণ ব্যবহার করা হয়। যেসব উপকরণ ব্যবহার করে টিউব বা পাইপকে কার্যপোযোগী করা যায় তাকে ফিটিংস বলে । ফিটিংসের সাহায্যে পাইপ বা টিউবকে সংযোগ করে ইচ্ছেমতো ব্যবহার করা যায় ।
ফিটিংসের প্রয়োজনীয়তা
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, প্লাম্বিং ইত্যাদি কাজে টিউব বা পাইপ লাইনের সংযোগ এবং এক অংশের সাথে অন্য অংশ সংযোগ করতে ফিটিংসের প্রয়োজন হয়। দীর্ঘ লাইন, উপ-লাইন তৈরি করতে, নিয়ন্ত্রক স্থাপন করতে ফিটিংস ব্যবহার করা হয়।
ফিটিংসের তালিকা
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এ বিভিন্ন ধরনের ফিটিংস ব্যবহার করা হয় । এগুলো হল-
ক) ফ্লায়ারিং বা টিউব ফিটিংস
(খ) সোন্ডারিং ফিটিংস
(গ) পাইপ ফিটিংস।
ক) ফ্লায়ারিং বা টিউব ফিটিংসের তালিকা
১) ফ্লায়ারিং নাট (Flaring Nut)
২) ফ্লায়ার টি (Flare Tee)
৩) ফ্লায়ার ইউনিয়ন (Flare Union) বা স্ট্রেইট কানেক্টর (Straight Connector)
৪) হাফ ইউনিয়ন (Half Union)
৫) ফ্লায়ার রিডিউসিং ইউনিয়ন (Flare Reducing Union)
৬) ফ্লায়ার এলবো (Flare Elbow)
৭) ফ্লায়ার কানেক্টর (Flare Connector)
৮) ফ্লায়ার ক্রস (Flare Cross)
৯) ফ্লায়ার ক্যাপ নাট বা ডেড নাট (Flare Cap Nut or Dade Nut)
১০) ফ্লায়ার প্লাগ বা ডেড প্লাগ (Flare Plug or Dade Plug )
১১) কপার সিল বনেট (Copper Seal Bonnet)
১২) কপার সিল গ্যাসকেট (Copper Seal Gasket) ।
খ) সোল্ডারিং ফিটিংসের তালিকা
১) সোল্ডার (কপার) সকেট
২) সোল্ডার (কপার) এলবো
৩) সোল্ডার (কপার) রিডিউসিং সকেট
৪) সোল্ডার (কপার) আডাপ্টর
৫) সোল্ডার (কপার) টি ইত্যাদি।
গ) পাইপ ফিটিংসের তালিকা
১) ইউনিয়ন
২) সকেট ইউনিয়ন
৩) নিপল
৪) এলবো
৫)টি
৬) ডেড প্লাগ ইত্যাদি ।
ফিটিংসের (Fitting) বর্ণনা
ফিটিংসের মাপে ইঞ্চি ও মিলিমিটার (মিমি) এ দু'প্রকারের প্রচলন রয়েছে। বর্তমানে মিলিমিটার মাপের ফিটিংস বেশি ব্যবহার হচ্ছে। গঠন, ব্যবহার ও তৈরি করার দিক থেকে বিভিন্ন ধরনের ফিটিংস ব্যবহৃত হয় । নিচে এ ধরনের কিছু ফিটিংস উল্লেখ করা হল-
ক) ব্রাশ ফিটিংস
খ) কপার বা সোল্ডার ফিটিংস
গ) পাপ ফিটিংস
ঘ) হোস ক্লাম্প ফিটিংস
ঙ) লকরিং জয়েন্ট
চ) কুইক কাপলার, ইত্যাদি।
ফিটিংসের ব্যবহার
সংযোগ ছাড়া কোনো প্রকার কারিগরি ও প্রকৌশল সংক্রান্ত কাজ করা সম্ভব নয়। এ সংযোগের জন্য বিভিন্ন প্রকার ব্যবস্থাও রয়েছে। ফিটিংস এগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং বহুল প্রচলিত সংযোগ ব্যবস্থা। বিশেষ করে আরএসি কাজে ফিটিংসের ব্যবহার অপরিসীম । নিচে ফিটিংসের ব্যবহার বর্ণনা করা হল-
ফিটিংসের নাম | ব্যবহার |
ব্রাশ ফিটিংস | হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের বিভিন্ন কাজে ফিটিংস ব্যবহার করে কপার টিউবকে বিভিন্নরূপে বা সাইজে রূপদান করতে হয়। বিভিন্ন কাজের প্রয়োজনে টিউবকে বিন্যাস | করতে ফিটিংস খুবই দরকার । প্রবাহী পথকে ভিন্ন দিকে বা বিভিন্ন দিকে বা ছোট বড় করার জন্য এ ফিটিংস ব্যবহার করা হয় । |
কপার/সোল্ডার ফিটিংস | রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের প্রবাহী পথ স্থায়ীভাবে সংযোগ দেয়ার জন্য ব্যবহার হয়। এর সাহায্যে প্রবাহী পথকে সংযোগ করার জন্য ব্যবহৃত হয় । |
পাইপ ফিটিংস | হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির যে ক্ষেত্রে পাইপ ব্যবহার করা হয় সে ক্ষেত্রে তরল (পানি, ব্রাইন, চিল্ড ওয়াটার ইত্যাদি) হিমায়কের বিভিন্নমুখী প্রবাহের জন্য ব্যবহার করা হয় । |
হোস ক্লাম্প | হিমায়ন ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির গ্যাস ওয়েল্ডিং সেটের হোস পাইপ, এয়ার কম্প্রেসরের হোস পাইপ ও কার এসির বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ করা হয়। |
লকরিং জয়েন্ট | ব্রেজিং বা ফ্লায়ার জয়েন্ট ছাড়া দ্রুত কপার টিউব সংযোগ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। |
কুইক কাপলার | অটোকারের এসিতে লিক টেস্ট, ইভ্যাকুয়েশন ও হিমায়ক চার্জ করার জন্য যে পোর্ট রাখা হয় তার সাথে দ্রুত সংযোগ করার জন্যে ব্যবহার করা হয়। |
নিচে বিভিন্ন আকৃতির কপার টিউব ফিটিংসের চিত্র দেখানো হল-
রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে দুই ধরনের সোয়ান্টিং টুলস ব্যবহৃত হয়- ক) পাঞ্চ টাইপ ও খ) লিভার টাইপ। এর সাহায্যে একই বাসের দুইটি কপার বা অ্যালুমিনিয়ামের টিউব স্থায়ী ভাবে জোড়া দেয়ার জন্য টিউবের মাথা সোয়াজিংকরা হয়।
বিভিন্ন ব্যাসের কপার টিউবকে ফ্লায়ারিং ও সোয়াজিং করতে এই টুলস বক্স ব্যবহার করা হয়। এই বক্সে সাধারনত ইয়োক, ভাইস, টিউব কাটার, ফ্লায়ারিং ও সোয়াজিং বিট, র্যাচের রেঞ্চ থাকে।
বিভিন্ন সাইজের কপার ও অ্যালুমিনিয়ামের টিউব বাঁকা করার পদ্ধতিকেই টিউব বেন্ড বলে। রেফ্রিজারেশন এবং এয়ারকন্ডিশনারের কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে টিউব এবং পাইপ বাঁকা করার দরকার হয়। তাই টিউব এবং পাইপ বাঁকা করার কাজে বিভিন্ন ধরনের বেন্ডার ব্যবহার করা হয়। টিউব বেন্ডার প্রধানত দুই প্রকার-
১. স্প্রিং টাইপ
২. মেকানিকাল টাইপ
১) স্প্রিং টাইপ টিউব বেন্ডার
স্প্রিং টাইপ টিউব বেন্ডারকে খাবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের একটি ইন্টার্নাল স্প্রিং বেন্ডার এবং অপরটি এক্সটার্নাল স্প্রিং বেন্ডার । উভয় প্রকারই বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। ইন্টার্নাল স্প্রিং বেন্ডার টিউবের মাধার নিকটবর্তী স্থানে বেন্ড ৰা বাঁকা করা এবং সোজা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। এক্সটার্নাল স্প্রিং রেন্ডার টিউকের মাঝামাঝি স্থানে বেন্ড বা বাঁকা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
২) মেকানিক্যাল টিউব বেন্ডার
মেকানিক্যাল টিউব বেন্ডারকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এদের একটি লিডার টাইপ বেন্ডার এবং অপরটি গিরার টাইপ বা কম্বিনেশন পিতার টাইপ বেন্ডার । লিভার টাইপ বেন্ডার টিউবের ব্যাস অনুপাতে বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে এবং কম্বিনেশন লিভার-টাইপ বেন্ডারের ফরমা এবং ব্লক পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যাসের টিউবকে বেন্ড করা যায় ।
লকরিং জয়েন্টের কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম
শ্রেণির তাত্ত্বিক কাজ
স্কুলের ওয়ার্কশপে রক্ষিত লকরিং জয়েন্টের সরঞ্জাম থেকে চিত্র ৫.৮ এ উল্লেখিত সরগ্রামগুলোর স্পেসিফিকেশন সংগ্রহ করে নিচের তালিকাটি পূরণ করি
এই শিখন ফলে আমরা পাইস ও টিউব, কপার টিউব কাটিং, টিউৰ ফ্ৰায়ারিং, সোরাজিং ও পিঞ্চিং সম্পর্কে জানতে পারব।
পাইপ ও টিউব (Pipe & Tube)
পাইপ ও টিউব উভয়ই অতিপরিচিত শব্দ । দুপ্রান্তের দুমুখ খোলা সিলিন্ডার (Cylinder) আকৃতির ফাঁপা নলকে পাইপ বা টিউব বলে যার ভেতর দিয়ে তরল ও বায়বীয় (প্রবাহী) পদার্থ চলাচল করতে পারে। টিউবকে বিভিন্ন আকার প্রদান করে কার্যপোযোগী করার প্রক্রিয়াকে টিউবিং বলে। টিউবিং-এর কাজে প্রয়োজন হয় বিভিন্ন রকমের ফিটিংস বা সংযোগ। ১ ইঞ্চির চেয়ে বেশি ব্যাসের নলকে পাইপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। টিউব অপেক্ষা পাইপ মজবুত এবং স্টীল, (Steel), জি আই (GI), প্লাস্টিক (Plastic), অ্যালুমিনিয়াম (Aluminum) প্রভৃতি দিয়ে তৈরি হয়। অপরদিকে টিউব অপেক্ষাকৃত নমনীয়। ইহা কপার (Copper), অ্যালুমিনিয়াম, প্লাস্টিক, রাবার প্রভৃতি দিয়ে তৈরি এবং হাল্কা কাজে ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার ক্ষেত্রের উপর ভিত্তি করে কোন কোন সময় পাইপকে টিউব বলা হয়ে থাকে। যেমন কোন কাজের প্রয়োজনে বেশি ব্যাসের পাইপের ভেতর দিয়ে কম ব্যাসের পাইপ স্থাপন করে, উভয় পাইপকে কাজে লাগালে বাইরের অংশকে পাইপ এবং ভেতরের অংশকে টিউব বলে।
রেফ্রিজারেশন পদ্ধতিতে পাইপের বা টিউবের প্রয়োজনীয়তা
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং -এ পাইপ ও টিউব ব্যবহার হয়ে থাকে । তবে টিউবের ব্যবহার বেশি । ইভাপোরেটর, কন্ডেনসার, কুলিং কয়েল, হিটিং কয়েল, ডি-হিউমিডিফায়ার (De - Humidifier) কয়েল, সাকশন ও ডিসচার্জ লাইন, চার্জিং লাইন, পানির সরবরাহ লাইন, ড্রেন (Drain) লাইন, বৈদ্যুতিক ওয়্যারিং এবং হিমায়ক নিয়ন্ত্রক ও নিয়ন্ত্রকের সেন্সিবল (Sensible) টিউব প্রভৃতি তৈরিতে পাইপ বা টিউব ব্যবহার করা হয়। পাইপ বা টিউব ছাড়া রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং - এর সিস্টেম তৈরি এবং ব্যবহার উপযোগী করা আদৌ সম্ভব নয়। তাই রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং -এ টিউব ও পাইপের গুরুত্ব অসীম । অ্যামোনিয়া ব্যবহৃত হিমায়ন চক্রে স্টীল টিউব বা পাইপ এবং অ্যামোনিয়া ছাড়া অন্যান্য হিমায়ন চক্রে কপারের টিউব ব্যবহার করা হয়।
পাইপ বা টিউবের প্রকারভেদ
পাইপ প্রধানত দুই প্রকার-
ক. নমনীয় পাইপ (Flexible Pipe )
খ. অনমনীয় বা শক্ত পাইপ (Non-Flexible or Hard Pipe )
বিভিন্ন প্রকারের পদার্থ দিয়ে পাইপ তৈরি করা হয়। যেমন - কাস্ট আয়রন, রড আয়রন, , স্টিল, তামা, সীসা, দস্তা, পিতল ইত্যাদি।
বিভিন্ন প্রকার পাইপের বর্ণনা
আবাসনসহ সকল প্রকার শিল্প, ফ্যাক্টরি, প্রতিষ্ঠানে বহু রকম কাজে বিভিন্ন রকমের পাইপ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। নিচে পাইপ সম্পর্কে কিছু তথ্য বর্ণনা করা হল-
নমনীয় পাইপ (Flexible Pipe )
কাপড় ও তারের উপর রাবার (Rubber) জড়ানো ভিনাইল ক্লোরাইড (Vinyl Chloride = VC) দিয়ে নির্মিত পাইপকে নমনীয় পাইপ বলে। যান্ত্রিক গুণাগুণের উপর প্রভাবিত হবার কারণে একে ১০০-৪০০ সে: তাপমাত্রায় ব্যবহার করা হয়। এর তেল, অম্ল, ক্ষার ও মরিচা রোধক ক্ষমতা অনেক বেশি । ঝাঁকুনিতে ফেটে বা ভেঙে যায় না বলে একে বেশি কম্পনশীল জায়গায় ব্যবহার করা হয়।
কয়েকটি নমনীয় পাইপের নাম
১. পলিভিনাইল ক্লোরাইড (Polyvinyl Chloride = P.V.C)
২. প্লাস্টিক বা রাবার পাইপ (Plastic or Rubber Pipe = P. P or R. P)
৩. হোস পাইপ (Hose Pipe )
অনমনীয় পাইপ (Non- Flexible or Hard Pipe )
শক্ত ধাতু বা প্লাস্টিক দিয়ে নির্মিত পাইপকে অনমনীয় পাইপ বলে । অত্যধিক তাপ ও শক্তি ছাড়া মুক্তভাবে এর আকৃতির পরিবর্তন করা যায় না। পানি, বাষ্প, তেল, গ্যাস, বাতাস ইত্যাদি সরবরাহের জন্য এটির ব্যবহার হয়ে থাকে । এতে মরিচা পড়ে বিধায় মরিচা রোধক পদার্থের প্রলেপ দেয়া থাকে ৷
কয়েকটি অনমনীয় পাইপের নাম
১. গ্যালভানাইজড আয়রন পাইপ (Galvanized Iron Pipe - G. I Pipe)
২. কাস্ট আয়রন পাইপ (Cast Iron Pipe C. I Pipe )
৩. মাইন্ড স্টীল পাইপ (Mild Steel Pipe =M. S Pipe )
৪. কার্বন স্টীল পাইপ (Carbon steel Pipe C. S Pipe )
৫. স্টেইনলেস স্টীল পাইপ (Stainless Steel Pipe S S Pipe )
৬. কপার পাইপ বা টিউৰ (Copper Pipe or Tube )
৭. অ্যালুমিনিয়াম পাইপ (টিউব) (Aluminum Pipe )
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডের কাজে সাধারণত তিন প্রকারের পাইপ বা টিউব ব্যবহার করা হয়। যেমন-
(১) কপার পাইপ / টিউব
(২) এস এস পাইপ / টিউব
(৩) অ্যালুমিনিয়াম পাইপ/ টিউব
কপার টিউৰ (Copper Tube )
এটি সাধারণত তামার তৈরি ফাঁপা গোলাকার নল বিশেষ বা তুলনামূলক চিকন ও নরম হয়ে থাকে। তাই এটি সহজে বাঁকানো যায়। এর মধ্য দিয়ে তেল, গ্যাস, পানি ইত্যাদি সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানাস্তর করা যায় । রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার প্রায় সর্বত্রই। তাই কাজের সুবিধার্থে বাজারে বিভিন্ন সাইজের কপার টিউব পাওয়া যায়। এর সাইজ সাধারণত ইঞ্চি হিসাবে প্রকাশ করা হয়। যেমন- ১/৪", ৫/১৬", ৩/৮, ১/২" ইত্যাদি।
কপার পাইপ (Copper Pipe )
এটি সাধারণত তামা, লোহা, পিতল, স্টীল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি ফাঁপা গোলাকার নদ বিশেষ। এটি তুলনামূলক মোটা এবং শক্ত। এটিকে সহজে বাঁকানো যায় না। এর মধ্য দিয়ে তেল, গ্যাস, পানি ইত্যাদি সহজে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানাঙ্কর করা যায়। বড় বড় এয়ার কন্ডিশনিং এবং বরফকল/আইস ফ্যাক্টরির হিমাগারের কাজের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার সর্বত্রই। তাই কাজের সুবিধার্থে বাজারে বিভিন্ন সাইজের কপার পাইপ পাওয়া যায় । যেমন- ৫/৮", ৩/৪", ১" ইত্যাদি।
পাইপ বা টিউবের ব্যবহার ক্ষেত্রের তালিকা
টিউবের বা পাইপের নাম | ব্যবহার ক্ষেত্র |
কপার টিউব (নমনীয় ও শক্ত) | সকল প্রকার রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং ইউনিটে ব্যবহার করা হয়। যেমন- রেফ্রিজারেটর, এয়ার কুলার, ওয়াটার কুলার, ইনকিউবেটর, জি- হিউমিডিফায়ার, হিমাগার, বরফকল, হিটপাম্প, ডিসপ্লে কেইস, এয়ার- কণ্ডিশনিং প্লান্ট প্রভৃতি । |
স্টীল পাইপ | বাসগৃহ, কলকারখানার তরল (পানি) সরবরাহ, গ্যাসলাইন, অ্যামোনিয়া (R ৭১৭) হিমারক ব্যবহৃত হিমায়ন প্লান্টে ব্যবহার করা হয় । তাছাড়া ব্রিে কন্ডেন্সার তৈরি করতে স্টীল ব্যবহৃত হয়। |
স্টেইনলেস স্টীল পাইপ | দুধ, জুস পানীয়, বেভারেজ ইত্যাদি সরবরাহ করার জন্য ব্যবহার করা হয় । |
গ্যালভানাইজড পাইপ | রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমে পানি সরবরাহ এবং প্লাম্বিং এর কাজে ব্যবহার করা হয়। |
প্লাস্টিক পাইপ | পানি, বায়ু, বর্জ্য পদার্থ, সরবরাহে ডিপ বা শ্যালো টিউবওয়েল দিয়ে পানি উত্তোলনে এবং বৈদ্যুতিক কাজে ব্যবহার করা হয়। |
অ্যালুমিনিয়াম পাইপ | অ্যালুমিনিয়াম পাইপ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং-এ ইভাপোরেটর, ট্রান্সপোর্ট রেক্সিজারেশনে, কন্ডেনসার, ইভাপোরেটর, এমনকি পাইপ লাইন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। |
টিউব বা পাইলকে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য বিভিন্ন আকৃতি ও সংযোগ প্রদান করার পদ্ধতিকে টিউৰিং ৰা পাইপিং বলে।
কপার টিউব কাটিং (Copper Tube Cutting)
বিভিন্ন প্রকার ধাতু খন্ডকে নির্দিষ্ট মাপ অনুযায়ী কেটে নেয়াকে কাটিং বলে। রেগ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কপার টিউব বা পাইপ এবং অ্যালুমিনিয়াম টিউব ব্যবহার করা হয়। তাই এই টিউব বা পাইপ ব্যবহার করার প্রয়োজনে কাটার দরকার হয়। রেক্সিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং এর কাজে অধিকাংশ ক্ষেত্রে টিউব কাটারের ব্যবহার হয়। এর মাধ্যমে খুব সহজেই বিভিন্ন সাইজের অ্যালুমিনিয়াম টিউব ও কপার টিউব কাটা যায়। এছাড়াও মিনি টিউব কাটার, পাইপ কাটার, হ্যাকস, মিনি হ্যাকস ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়।
রিমিং/ডিবুরিং (Rimming/Deburring)
কপার টিউব কাটার পর কাটিং ডিস্কের চাপে টিউবের কিছু অংশ টিউবের ভেতরের দিকে চেপে যায়। ক্লান্সারিং ও সোয়াজিং করার আগে এই চেপে যাওয়া অংশ বের করতে হয়। রিমার বা ডিবুরিং টুলস এর সাহায্যে এই চেপে যাওয়া অংশ বের করা হয়।
ফ্লায়ারিং (Flaring)
একই রকম ব্যাসের দু'টি পাইপকে অস্থায়ীভাবে ফ্লায়ারিং নাটের মাধ্যমে ঘোড়া দেয়ার জন্য পাইপের মাথা যে পদ্ধতিতে ফুলের মত ছড়ানো হয় তাকে ফ্লায়ারিং বলে।
সোয়াজিং(Swaging)
একই রকম ব্যাসের দু'টি পাইপকে স্থায়ী ভাবে জোড়া দেয়ার জন্য পাইপের মাথা যে পদ্ধতিতে সমপরিমানে ছড়ানো হয় তাকে সোয়াজিংবলে।
পিকিং(Pinching)
হিমায়ন পদ্ধতিতে রেফ্রিজারেন্ট চার্জ করার পরে চার্জিং লাইনের মাথা সিল বা বন্ধ করা হয়। এই সিল বা বন্ধ করাকে পিকিংবলা হয়। এর জন্য বিশেষ ধরনের টুলস ব্যবহার করা হয়।
এই শিখন ফল অর্জনের মাধ্যমে আমরা গ্যাস ওয়েন্ডিং সংক্রান্ত তথ্যাদি, গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ, ব্যাক ফান্নার ও ফ্লাশ ব্যাক এবং ব্রেজিং সম্পর্কে জানতে পারব।
গ্যাসের দহনে প্রাপ্ত ভাগ ব্যবহার করে ধাতব খণ্ডের অংশ বিশেষ গলিয়ে জোড়া দেয়ার প্রক্রিয়াকে গ্যাস ওয়েন্ডিং বলে। গ্যাস ওয়েন্ডিং সাধারণতঃ চার প্রকার-
১. অক্সি অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওরেল্ডিং (তাপমাত্রা ৩১০০ - ৩৪৮৩ ডিগ্রী সেঃ)
২. অক্সি হাইড্রোজেন গ্যাস ওয়েন্ডিং (ভাপমাত্রা ২২০০ - ২৮২৫ ডিগ্রী সেঃ)
৩. এয়ার অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং (তাপমাত্রা ২০২৫ - ২৪৬০ ডিগ্রী সেঃ)
৪. প্রেশার গ্যাস ওয়েল্ডিং (তাপমাত্রা ১২০০ - ২৩০০ ডিগ্রী সেঃ)
অক্সি-অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েল্ডিং
অক্সি-অ্যাসিটিলিন ওয়েল্ডিং প্রণালিতে অ্যাসিটিলিন (Acetylene) গ্যাসকে অক্সিজেন (Oxygen) গ্যাসের সাহায্যে জ্বালিয়ে প্রচুর তাপ উৎপন্ন করা হয় । উৎপন্ন তাপ প্রয়োজন মতো সংযোগ স্থানে ও স্পেল্টারে প্রয়োগ করা হয়। তাপের সাহায্যে স্পেল্টার বা ঐ ধাতুর কিছু অংশ গলে জোড়া লেগে যায়। এতে কোন আঘাত দেয়ার প্রয়োজন হয় না। অ্যাসিটিলিনকে অক্সিজেন জ্বলতে সাহায্য করে। আনুপাতিক হারে মিশ্রিত অ্যাসিটিলিনকে অক্সিজেনের সাহায্যে জ্বালিয়ে যে শিখা তৈরি করা হয় তাকে অক্সি -অ্যাসিটিলিন শিখা বলে । অক্সি – অ্যাসিটিলিন শিখা ব্যবহার করে যে ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে অক্সি অ্যাসিটিলিন ওয়েল্ডিং বলে।
অক্সি- অ্যাসিটিলিন গ্যাস ওয়েন্ডিং পদ্ধতি দুই প্রকার-
১. উচ্চ চাপ পদ্ধতি এবং
২. নিম্ন চাপ পদ্ধতি ।
গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা
কারিগরিসহ সকল ক্ষেত্রেই ধাতু নির্মিত জিনিসপত্র ব্যবহারে ওয়েল্ডিং-এর ব্যাপক প্রয়োগ দেখা যায়। কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে সকল প্রকার ওয়েল্ডিং সর্ব স্তরে প্রয়োগ হয় না। সকল দিক বিবেচনা করে দেখা যায় বর্তমান বিশ্বে ব্যাপক ও নির্ভরযোগ্যভাবে গ্যাস ওয়েল্ডিং ব্যবহার করা হচ্ছে। নিচে উল্লেখিত ব্যবহারের কারণে গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর আবশ্যকতা ব্যাপকভাবে সমাদৃত । জাহাজ নির্মাণ, যানবাহনের বডি ও ইমারতে দরজা- জানালা ইত্যাদি নির্মাণ ও মেরামতের কাজে, টেবিল, চেয়ার, তাক, ইত্যাদি তৈরি ও মেরামতের কাজে, পানি, জ্বালানি, তরল, জুস ইত্যদির ট্যাঙ্ক তৈরি ও মেরামতের কাজে, বিভিন্ন ধরনের পাইপ লাইন নির্মাণ ও মেরামতের কাজে, বিভিন্ন প্রকার সিলিন্ডার নির্মাণ কাজে, রিস্কা-ভ্যানের অংশ বিশেষ মেরামতের কাজসহ অগণিত প্রয়োজনে ওয়েল্ডিং ব্যবহার করা হয়।
রেফ্রিজারেশন সিস্টেমে গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর প্রয়োজনীয়তা
মূলত রেফ্রিজারেশন ও এয়ার-কন্ডিশনিং ইউনিটের বডি নির্মাণ ও মেরামত কাজে, প্লান্টের বিভিন্ন অংশ সংযোগ ও মেরামত কাজে, সিল্ড টাইপ কম্প্রেসরের ডোম ঝালাই করতে, টিউবিং এর (টিউব জোড়া, পরিবর্তন, মেরামত ইত্যাদি) কাজে, চার্জিং লাইন তৈরি, চিল্ড ও ফিড ওয়াটার লাইন তৈরি, আইস ক্যান ইত্যাদি তৈরি ও মেরামত কাজে গ্যাস ওয়েল্ডিং -এর আবশ্যকতা অসীম । তাছাড়া নিচে উল্লেখিত সুবিধাদির প্রয়োজনে গ্যাস ওয়েল্ডিং করা হয় ।
ক) হিমায়ন চক্রের স্টীল টু স্টীল টিউব সংযোগ দেয়া
খ) হিমায়ন চক্রের স্টীল টু কপার টিউব সংযোগ দেয়া
গ) হিমায়ন চক্রের কপার টু কপার টিউব সংযোগ দেয়া
ঘ) হিমায়ন চক্রের যে কোন লিক মেরামত করা ইত্যাদি
সাফল্যজনকভাবে গ্যাস ওয়েন্ডিং সম্পাদনের জন্য কিছু বিষয় জানা অপরিহার্য । নূন্যতম যে সকল তথ্য সম্পর্কে জানা প্রয়োজন তা হল-
১। শিখা ২। শিখার তাপ ও তাপমাত্রা ৪। জ্বালানি (গ্যাস) ৫। রাসায়নিক বিক্রিয়া ৬। বেস মেটাল ৭। ফিলার মেটাল ইত্যাদি।
গ্যাস ওরেল্ডিং শিখার বর্ণনা
ভিন্ন ভিন্ন গ্যাসের সমন্বয়ে বিশেষত অক্সিজেনের সাথে অন্যান্য গ্যাস মিশ্রনে অগ্নিশিখার সৃষ্টি ও তার মাধ্যমে ওয়েন্ডিং করার প্রচেষ্টা দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। অক্সিজেনের সাথে বিভিন্ন গ্যাস যেমন হাইড্রোজেন, প্ৰপেন, বিউটেন, মিখেন ইত্যাদি গ্যাস মিশিয়ে শিখা উৎপাদন করা সম্ভব হলেও বাস্তবে এই শিখা দিয়ে ধাতু গলানো ও ওয়েন্ডিং করা সম্ভব হয়নি। অবশেষে অক্সিজেনের সাথে অ্যাসিটিলিন মিশিয়ে ভালো ফল পাওয়া যায়। এ দু'য়ের মিশ্রণে সর্বাধিক তাপ উৎপাদনে সক্ষম, আর তাই ওয়েল্ডিং শিল্পে অগ্নি অ্যাসিটিলিন শিখা সর্বাধিক কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে। দাহ্য পদার্থ দহনের ফলে যে রক্তিম বা নীলাভ অংশের সৃষ্টি হয় তাকে শিখা বা Flame বলে । ফ্রেম তৈরিতে দাহ্য পদার্থ বা সহন ক্রিয়ার সহায়ক পদার্থের প্রয়োজন হয়।
শিখার শ্রেণী বিভাগ
অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখা তিন প্রকার-
১। নিউট্রাল শিখা (Neutral Flame)
২। কার্বুরাইজিং শিখা (Carburizing Flame )
৩। অক্সি-ডাইজিং শিখা (Oxidizing Flame)
১। নিউট্রাল শিখা (Neutral Flame)
সমপরিমান অক্সিজেন ও সমপরিমান অ্যাসিটিলিন গ্যাস একসাথে মিশ্রিত হয়ে যে শিখার সৃষ্টি হয় তাকে নিউট্রাল শিখা বলে। নিউট্রাল শিখা ওয়েন্ডিং এর পক্ষে সুবিধাজনক। এই শিখার প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ওয়েল্ডিং এর সময় বেস মেটালে কোন প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায় না। এই শিখার রং উজ্জ্বল সাनা ও সামান্য নীলভ বর্ণের। এই শিখার তাপমাত্রা ৩০০০ সেন্টিগ্রেড থেকে ৩২০০ সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাইন্ডষ্টীল, স্টেইনলেস স্টীল, কার্ট আয়রন, ভাষা অ্যালুমিনিয়াম প্রভৃতি ধাতুগুলোর জন্য নিউট্রাল শিখা ব্যবহৃত হয়।
২। কার্বুরাইজিং শিখা (Carburizing Flame )
যে অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখায় অক্সিজেনের চেয়ে অ্যাসিটিলিনের পরিমাণ বেশী থাকে তাকে কারাইজিং শিখা বলে। এই শিখায় অতিরিক্ত অ্যাসিটিলিন থাকার ফলে ইনার (Inner) কোণের উপর একটি সাদা বর্ণের লম্বা অতিরিক্ত কোণ সৃষ্টি হয় তাকে অ্যাসিটিলিন ফিদার (Acetylene Feeder) বলে। এই শিখা ধাতু খণ্ডের উপরে প্রয়োগ করলে গলিত ধাতুকে ফুটন্ত ও অগ্রহ দেখার। কার্বনের পরিমাণ বেশী বলে এই শিখা মূলত ধাতুর উপরিভাগ শক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। এই শিখার তাপমাত্রা অন্যান্য শিখার তুলনায় অনেক কম। এর তাপমাত্রা ২২০০ সেঃ - ২৫০০ সেঃ। এই লিখার তাপমাত্রা কম থাকার অ্যালুমিনিয়াম, হাই কার্বনস্টীল, নিকেল ওয়েন্ডিং করতে এই শিখা ব্যবহৃত হয়।
৩। অক্সিডাইজিং শিখা (Oxidizing Flame )
যে অক্সি-অ্যাসিটিলিন শিখার অ্যাসিটিলিনের চাইতে অক্সিজেনের পরিমাণ বেশী তাকে অক্সিডাইজিং শিখা বলে। এই শিখার ইনার কোপ নিউট্রাল শিখার ইনার কোণের তুলনায় অধিক সরু। এই শিখা অধিক শক্তি উৎপন্ন করে। ওয়েন্ডিং এর সময় তাপমাত্রা বেশী দরকার হলে এই শিখা ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে ধাতু কাটিং এর ক্ষেত্রে এই শিখা ব্যবহৃত হয়। এছাড়া অলৌহজ ধাতু, যেমন- পিতল, ব্রোঞ্জ, গানমেটাল প্রভৃতি জোড় দেয়ার জন্য এই শিখা ব্যবহৃত হয়। এই শিখার তাপমাত্রা ৩০০০ সেঃ- ৩৩০০ সেঃ।
গ্যাস ওয়েন্ডিং কাচাঁমাল (Raw Materials)
০১) ব্রাশ রড ০২) ব্রেজিং রড ০৩) ব্রেজিং পাউডার এবং ০৪) ওয়েল্ডিং এর জন্য ধাতব পদার্থ গ্যাস ভরেন্ডিং করার জন্য সাধারণত বড় বড় অক্সিজেন এবং অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয়। যা বিভিন্ন স্থানে বহন করা কষ্টকর এবং ব্যয়বহুল। তাই বর্তমানে তুলনামূলক হাল্কা কাজ অর্থাৎ গ্রিজ এবং এসির কাজ করার জন্য সহজে স্থানান্তর বা বহন করা যায় এই রকম মোবাইল গ্যাস ওয়েন্ডিং ক্যান এবং নক্ষন পান্না যায়। পরবর্তী পাড়ায় মোবাইল গ্যাস ওয়েল্ডিং ক্যানের চিত্র দেয়া হল-
সুন্দর সংযোগ করার পূবর্শত যথাযথ ওয়েন্ডিং ব্যবস্থা । আর সঠিক ওয়েল্ডিং-এর জন্য অবশ্যই প্রয়োজন সঠিক গ্যাস নিয়ন্ত্রণ। সুতরাং উত্তম মানের ওয়েন্ডিং-এর জন্য সঠিকভাবে গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জানা খুবই জরুরী। গ্যাসের এই চাপ নিয়ন্ত্রণ দুই পর্যায়ে হয়ে থাকে-
ক) গ্যাস সিলিন্ডার রেগুলেটর দিয়ে সিলিন্ডারের গ্যাসের প্রেশার কমিয়ে ওয়ার্কিং মাত্রার সামান্য ঊর্ধ্ব মাত্রায় হোস পাইপে প্রেরণ করা এবং
খ) টর্চের রেগুলেটর দিয়ে গ্যাসের সঠিক মাত্রার ওয়ার্কিং প্রেশার নিয়ন্ত্রণ করে নজল বা টিপে প্রেরণ করা। নিচের টেবিলের তথ্যানুযায়ী গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করে ওয়েন্ডিং করা হয়-
সিলিন্ডারের চাপ ও আয়তন
গ্যাস সিলিন্ডারের চাপ নিয়ন্ত্রণের পাঁচটি ধাপ
১। উত্তর সিলিন্ডারের কন্ট্রোল তাৰ খুলে সিলিন্ডার প্রেশার গেজের মাধ্যমে প্রেশার লক্ষ্য করতে হবে ।
২। উভয় সিলিন্ডারের প্রেশার রেগুলেটরদ্বয় চালু করে ওয়ার্কিং প্রেশার গেজের নির্দেশিকার মান দেখে ওয়ার্কিং প্রেশার নির্ধারণ করতে হবে।
৩। অতঃপর টর্চের রেগুলেটর চালিয়ে যথাযথ শিখা তৈরিতে প্রয়োজনীয় মাত্রার গ্যাস সরবরাহ করতে হবে ।
৪। ১/২ (অর্ধেক) ইঞ্চি ব্যাসের কপার টিউব ঝালাই করার জন্য অ্যাসিটিলিন পাসের প্রেশার ৫ কেজি / বঃ সেমিঃ এবং অক্সিজেনের প্রেশার ০.৫ থেকে ০.৬ কেজি/ বঃ সেমিঃ রাখা হয় এবং ৫০ নম্বরের নাশ ব্যবহার করা হয়।
৫। বেশি ব্যাসের টিউবের ক্ষেত্রে ৭৫ নম্বরের নজল ব্যবহার হয় ।
ব্যাক ফায়ার- প্যাস ওয়েল্ডিং করার সময় টর্চের টিপে উচ্চ শব্দ করে শিখা সাময়িক ভাবে নিচে আবার জ্বলে। একে ব্যাক ফারার বলে।
ফ্লাশ ব্যাক- গ্যাস ওয়েন্ডিং করার সময় ওয়েল্ডং টর্চের টিপ অথবা হোজ পাইপের ভেতরে শিখার অন্তর্মুখী প্রজ্বলনকে ফ্লাশ ব্যাক (Flash Back) বলা হয় । এতে অনেক সময় ফোঁস ফোঁস কিংবা একটানা চিঠি শব্দ সহযোগে ধোঁয়াযুক্ত ছোট খাট শিখার সৃষ্টি হয়।
ফ্লাশ ব্যাক হওয়ার কারণ- ময়লা যুক্ত গ্যাস প্রবাহের লাইন, অনুপোযুক্ত প্রেশার, বিকৃত বা টিলা টিপ, টিলা টর্চ, মোচড়ানো হোঙ্গ পাইপ, টিপের ছিদ্র পথে ময়লা, টিপের অতিরিক্ত উত্তপ্ত অবস্থা ইত্যাদির কারণে ক্লাশ ব্যাক হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এর প্রতিকার- ফ্লাশ ব্যাক মূলত ব্যবহৃত সরঞ্জামের কোন না কোন মৌলিক ত্রুটির কারণে সংঘটিত হয়। ফ্লাশ ব্যাক নিরসনের জন্য সরঞ্জামগুলোর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষন এবং সে সঙ্গে কাজ শুরু করার আগে দক্ষ কারিগর দিয়ে ভালভাবে পরীক্ষা করে নেয়া আবশ্যক। এছাড়াও ফ্লাশ ব্যাক প্রতিরোধের জন্য ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার ব্যবহার করা হয়।
ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার- ফ্লাশ ব্যাক এক ধরনের বিপদজনক ঘটনা। এটি রেগুলেটরকে অকেজো করে দিতে পারে। তাই রেগুলেটরকে ক্লাশ ব্যাকের দূর্ঘটনা হতে রক্ষা করার জন্য এক বিশেষ ধরনের বস্ত্র ব্যবহার হয়, তাকে ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার (Flash Back Arrestor) বলে। এই ফ্লাশ ব্যাক এরেস্টার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্লাশ ব্যাক রোধ করে।
ব্যাক ফারার হওয়ার কারণ-
১. টর্চের টি ওয়ার্ক পিসের বেশি কাছে আসলে
২. টিপের ছিদ্রপথে কোন কিছু প্রবেশ করে গ্যাস প্রবাহের পথে বাধা সৃষ্টি করলে
৩.টিল যদি অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়
৪. আভার সাইজ টিপ ব্যবহার করলে
ব্যাক ফায়ারের প্রতিরোধ ব্যবস্থা-
১. টর্চের টিপ ওয়ার্ক পিস থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে বজায় রাখা
২.টিপের ছিদ্রে যাতে কোন ময়লা প্রবেশ না করে সেই দিকে লক্ষ্য রাখা
৩. টিপ উত্তপ্ত হয়ে গেলে তা ঠাণ্ডা করে আবার ওয়েল্ডিং করা
৪. সঠিক সাইজের টিপ ব্যবহার করা।
গ্যাস ওয়েল্ডিং এর ইকুইপমেন্ট ব্যবহারের আগে তা পরীক্ষা করে নিতে হবে এবং সাবধাণতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেফটি ইকুইপমেন্টগুলো হাতের নাগালে রাখতে হবে । বন্ধ বা উত্তপ্ত স্থানে গ্যাস ওয়েন্ডিং সিলিন্ডার রাখা বা ওয়েল্ডিং করা যাবে না। গ্যাস ওয়েন্ডিং সেট একত্রিত করার সময় নিচে উল্লেখিত বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখতে হবে-
অক্সি-এ্যাসিটিলিন শিখার ৮০০০ ডিগ্রী ফারেন হাইট তাপমাত্রায় খাজুর পাত বা পিটকে উত্তপ্ত করে ব্রেজিং রঙ এর সাহায্যে জোড়া দেয়া হয় ।
ব্রেজিং প্রণালীর প্রকারভেদ
ব্রেজিং এর পদ্ধতিগুলোকে নিচে উল্লেখিত ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে-
ক) টর্চ ব্রেঞ্জিং খ) ফার্নেস ব্রেঞ্জিং গ) ভ্যাকুরাম ব্রেজিং খ) ইনডাকশন ব্রেজিং ও ডিপ ব্রেজিং (মেটাল এবং সল্ট বাথ ব্রেজিং) চ) রেজিস্ট্যান্স ব্রেজিং ছ) ইনফ্লাড ব্রেজিং জ) কার্বন-আর্ক ব্রেজিং ঝ) ফ্লো ব্রেজিং ঞ) বক ব্রেজিং
ব্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা
জোড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রেজিং একটি উত্তম ও সহজ পদ্ধতি। এটি নন-ফিউশন ধরনের ওয়েন্ডিং পদ্ধতি। বিভিন্ন কল-কারখানায় ভাষা, পিতল ও স্টীলের সূক্ষ্ম যন্ত্রাংশকে জোড়া দেয়ার ক্ষেত্রে ব্রেজিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
ড্রেজিং ওয়েন্ডিং করার সময় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধি-
১। ব্রেজিং করার পূর্বে জবগুলোকে অবশ্যই ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেয়া।
২। ব্রেজিং ধোঁয়া শ্বাস প্রশ্বাসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে জন্য মাস্ক পরা ।
৩। টর্সের এবং ফিলার মেটালের কৌণিক দূরত্ব সঠিক ভাবে বজায় রাখা।
৪। ব্রেজিং এর সময় অবশ্যই ফ্লার ব্যবহার করা উচিত।
৫। আবদ্ধ স্থানে ব্রেঞ্জিং করা যাবে না।
৬। ব্যাক ফায়ার যাতে না হয় সে জন্য টর্স এবং ওয়েল্ড মেটালের দূরত্ব ঠিক রাখা।
এই শিখন ফলে আমরা লকরিং জয়েন্ট ও লকরিং জয়েন্টের সুবিধা সম্পর্কে জানতে পারব।
৫.৪.১ লকরিং জয়েন্ট
লকরিং জয়েন্ট/জোড়া একটি নন ওয়েল্ডিং সংযোগ পদ্ধতি যা বিভিন্ন ধাতব পাইপ যেমন, (তামা + অ্যালুমিনিয়াম, ইম্পাঙ্ক + অ্যালুমিনিয়াম, ভাষা + ইস্পাত ইত্যাদি) ওয়েন্ডিং ছাড়া সংযুক্ত করতে ব্যবহৃত হয়। এটি রেক্সিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং এ ব্যবহৃত সাকশন লাইন, ডিসচার্জ লাইন, স্ট্রেইনার, কন্ডেনসার, ক্যাপিলারি টিউবের মধ্য সংযোগ দিতে ব্যবহৃত হয়।
দুই ধরনের লকরিং জয়েন্ট পদ্ধতি প্রচলিত-
৫.৪.২ লকরিং জয়েন্ট এর সুবিধা
এই শিখন ফলে আমরা কর্মস্থল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার করণীয় এবং Cleaning Materials এর চিত্র সহ নাম জানতে পার।
কাজ শুরু করার পূর্বে এবং পরে কর্মক্ষেত্র পরিষ্কার করা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লিনিং ইকুইপমেন্ট পাওয়া যায়। কার্যকারী ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করলে অতি অল্প সময়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব।
৫.৫.১ Cleaning Materials এর নামসহ চিত্র দেয়া হল-
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
(ঘ) কাজের ধারা
১। টিউব কাটারের সাহায্যে কপার টিউব কাটিং করো।
ক. টিউব কার্টারের হুইল ঘুরিয়ে, টিউব কাটার এর জ' বা চোয়ালকে বড় করো,
খ. টিউব কাটারের জ' বা চোয়ালের ভেতর কাটিং ডিস্ক ও রোলারের উপর টিউবটিকে রাখা
গ. টিউব কাটারের হুইলকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে, টিউব কাটারের ড' বা চোয়ালকে টিউবের বাড়িতে আটকাও;
ঘ. টিউব কাটারের হুইল এক প্যাঁচ ঘোরাও এবং টিউব কার্টারকে, টিউবের চারপাশে একবার ঘোরাও। এভাবে বার বার করতে থাক এক পর্যায়ে টিউবটি কেটে যাবে।
২। ফায়ারিং, সোরেজিং ও বেডিং করার জন্য কপার টিউব প্রস্তুত কর।
ক. রিমিং কর অর্থাৎ কপার টিউব এর কাটা প্রাপ্ত রিমার বা ডিরিং টুলসের ভেতর ঘুরিয়ে, টিউবের ভেতরের বটে যাওয়া অংশ বের করো;
খ. ফাইলিং কর অর্থাৎ টিউবের ভেতর থেকে বের করা অংশ ফাইল বা স্যান্ড পেপারে ঘষে মসৃণ করো।
৩। কপার টিউব ফায়ারিং করো।
ক. যে সাইজের টিউব ফ্লারারিং করবে, তা ভাইজের সেই সাইজের হোলে (গর্তে) স্থাপন কর এবং যে সাইজ এর টিউন ফায়ারিং করবে, তার অর্ধেক পরিমান অংশ ভাইস এর বাইরে রাখ;
খ. ইয়কটির সাথে ফায়ারিং টুলস স্থাপন করো;
গ. ইয়কটিকে টিউব ও ভাইস এর উপর স্থাপন করো;
ঘ. ইয়কের হুইল, ধীরে ধীরে ঘোরাও এবং লক্ষ কর, টিউবের প্রাপ্ত যেন চারপাশে সমানভাবে ছড়ায়।
৪। কপার টিউব সোরেজিং করো।
ক. যে সাইন্সের টিউব সোয়েজিং করবে তা ইয়র্কের সেই সাইজের হোলে (গর্তে) স্থাপন কর এবং যে সাইজের টিউব সোরেজিং করবে তার সমান পরিমান অংশ ইয়কের বাইরে রাখ
খ. ইয়কের সাথে সোয়েজিং টুলস বিট স্থাপন করো;
গ. ইয়ক টিকে টিউব ও ভাইসের উপর স্থাপন করো;
ঘ. ইয়কের হুইলকে ধীরে ধীরে ঘোরাও এবং লক্ষ কর টিউবের প্রাপ্ত যেন চারপাশে সমান ভাবে ছড়ায়।
৫। কলার টিউন বেডিং কর।
ক. টিউবকে মেকানিক্যাল টিউব বেন্ডারের সঠিক স্থানে বসাও;
খ. মেকানিক্যাল টিউব বেন্ডারের হাতলটিকে টিউবের উপর রেখে ধীরে ধীরে চাপ দাও।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং এর কাজে, কপার টিউব কাটিং, ফ্লায়ারিং, সোরেজিং ও বেন্ডিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
(গ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
(ঘ) কাজের ধারা
১. অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের ভাগ খোল।
ক. ওয়েল্ডিং টর্চ ধর।
খ. অক্সিজেন সিলিন্ডার ও রেগুলেটর ভাতত্ত্বর ঘুরিয়ে খুলে প্রেসার অ্যাডজাস্ট করো।
গ. অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার ও রেগুলেটর তালুতায় ঘুরিয়ে খুলে প্রেসার অ্যাডজাস্ট করো ।
২. স্পার্ক লাইটারের সাহায্যে আগুন জ্বালাও ।
ক. ওয়েল্ডিং টর্চের অ্যাসিটিলিন অতটি সামান্য পরিমান খোল।
খ. স্পার্ক লাইটার দিয়ে ওয়েন্ডিং টর্চে আগুন জ্বালাও ।
৩. নির্দেশনা অনুযায়ী (কপার ও কপার টিউব) সবের উপর ব্রেজিং করো।
ক. যে স্থানে জোড়া দিতে হবে সেই স্থানের উপর জ্বলন্ত ওয়েন্ডিং টর্চ ধর। এতে ঐ স্থানটি উত্তপ্ত হয়ে লাল হবে।
খ. উত্তপ্ত স্থানে জ্বলন্ত ওয়েল্ডিং টর্চের শিখার ব্রেজিং রঙ ধর। এতে ব্রেজিং রডটি পলে গিয়ে উত্তপ্ত স্থানের উপর পরবে এবং ভাগে সমান ভাবে জবের উপর ছড়িয়ে যাবে।
৪. টিউবের এক প্রান্তে চার্জিং লাইন সংযোগ কর এবং অপর প্রান্ত ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে বন্ধ করো। এবার নাইট্রোজেন প্রেশার দিয়ে লিকটেস্ট করো।
৫. একই নিয়মে বাস্তব রেফ্রিজারেটরে (কপার ও ষ্টীল) সাকশন, ডিসচার্জ লাইন, স্ট্রেইনার, কন্ডেনসারে, (কপার ও স্ট্রেইনার) এবং ক্যাপিলারি টিউব, ইভাপোরেটরে ব্রেজিং (সংযোগ) করো ৷
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশনিং ইউনিট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনে গ্যাস ওয়েল্ডিং এর মাধ্যমে কপার টিউব ব্রেজিং করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
পারদর্শিতার মানদন্ড
(ক) ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম
খ) প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (টুলস, ইকুইপমেন্ট ও মেশিন)
(গ) মালামাল (Raw Materials)
(ঘ) কাজের ধারা
১. টিউৰ প্রস্তুত করো।
ক. কপার টিউবের প্রাপ্ত টিউব কাটার দিয়ে সমান ভাবে কাট।
খ. টিউবের প্রাপ্ত ফাইল বা স্যান্ড পেপার দিয়ে ঘষে মসৃণ করো।
গ. রিমার বা ডিবুরিং টুলস দিয়ে টিউবের কাটা প্রাজ্ঞেরচেপে যাওয়া অংশ টেনে বের করো।
২. জবের উপর লকপ্রিপ প্রয়োগ কর।
ক. কপার টিউবের ভেতর লকরিং প্রবেশ করাও।
খ. কপার টিউবের প্রাপ্ত জয়েন্টের ভেতর প্রবেশ করাও।
গ. জয়েন্টের ভেতর কপার টিউবের প্রাপ্ত বতটুকু অংশ প্রবেশ করে ততটুকু অংশ মার্কিং করো।
ঘ. মার্কিং করা অংশে লকপ্রিশ প্রয়োগ কর ।
কাজের সতর্কতা
আত্মপ্রতিফলন
রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং ইউনিট মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষনের প্রয়োজনে টিউবে লকরিং সংযোগ করার দক্ষতা অর্জিত হয়েছে/হয় নাই/আবার অনুশীলন করতে হবে।
Read more